(দিনাজপুর২৪.কম) ঘুষ গ্রহণের মামলায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে আজ বুধবার বিকেলে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষক শ্যামল কান্তি। আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ঘুষ গ্রহণের মামলায় পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুপুরে শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন একই আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন জানান, আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগম শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ মামলা করেছিলেন। তার অভিযোগ, এমপিওভুক্ত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। টাকা ফেরত চাইলে তা দিতেও অস্বীকার করেন তিনি। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তি ভক্তকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গত বছরের ১৩ মে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবস করান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। পরে এমপির নির্দেশে তাকে স্কুল থেকে বের করে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়। ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এলে গত বছরের ১৮ মে হাইকোর্ট স্বঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। দেশজুড়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন শিক্ষক-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরই মধ্যেই ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ওঠে সমালোচনার ঝড়। -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.