
কর্মমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবসম্পদকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলাকে এই বাহিনীর একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানসম্মত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা বর্তমানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে।
এ ছাড়া আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনের ক্ষেত্রে এ বাহিনী সারাদেশে ‘এক বিশাল পরিবর্তন’ সূচনা করেছে।
আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও ঋণ গ্রহণের সম্মিলনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে এ ব্যাংক কাজ করছে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নে নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সুযোগ-সুবিধা প্রতিবছরই বিভিন্নভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করেন। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহসান খান এবং প্যারেড কমান্ডান্ট আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এ সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন।
কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের জন্য আনসার সদস্যদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আনসার সদস্যদের নির্মিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের স্টলও পরিদর্শন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং স্থানীয় এমপিরাও উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।