(দিনাজপুর২৪.কম) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ-সহায়তা হিসেবে ‘রেকর্ড’ ১৯৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। গত জুন মাসের আগে কখনোই এক মাসে এত বেশি বিদেশি ঋণ দেশে আসেনি।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পাওয়া এ ঋণ-সহায়তা রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসে ১৪৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের ঋণ এসেছিল। যা এতদিন পর্যন্ত ছিল সর্বোচ্চ।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব মিলিয়ে দাতাদের কাছ থেকে ৭২৭ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থবছরের হিসেবেও একটি বিদেশি ঋণের একটি রেকর্ড। আগের বছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি ঋণ এসেছে এবার। এই ঋণের অর্ধেকেরও বেশি, ৩৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ডলার এসেছে, মহামারীকালের চার মাস-মার্চ থেকে জুনের মধ্যে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাওয়া ৬২১ কোটি ডলার ছিল এতদিন এক অর্থবছরে পাওয়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ঋণ-সহায়তা।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণভাবে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি অর্থনীতির ক্ষতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরে দাতাদের কাছে ঋণ-সহায়তার আবেদন করেছিল সরকার। তারা এতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স, আমদানি, রপ্তানি আয়সহ সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতি আস্তে আস্তে শক্তি ফিরে পাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা এখন বেশ সাহস পাচ্ছি। সাহসিকতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে পারব বলে আশা করছি।’ -ডেস্ক