(দিনাজপুর২৪.কম) বতর্মানে করোনার কারণে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য সরকার যে বাজেট দিয়েছে তা সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। ফলে এই বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অর্থনীতি সচল করতে কিছু আইডিয়া থাকবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়। কিন্তু সেটা পেলাম না। আয় ও ব্যয় মিলিয়ে একটা বাজেট দেয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা কোনোভাবেই অর্জন করা বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব হবে না। বাজেটপরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাষী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই অর্জন সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যে চার মাস হারিয়ে গেছে। ভবিষ্যতের কথাও বলা যাচ্ছে না। ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ৩২ থেকে ৩৪ শতাংশ হতে হবে। সেটা অসম্ভব ও কঠিন। আমরা এখন প্রবৃদ্ধির জালে আটকে আছি। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থা বিরাজ করছে। আমরা আশা করেছিলাম অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় এই সঙ্কট নিয়ে কিছু বলবেন। কিন্তু সেটা নেই বক্তৃতায়। তিনি যা বলেছেন তা প্রত্যাশিত নয়। তিনি বলেন, দেশের ভঙ্গুর পুঁজিবাজার নিয়ে আমরা কিছুই পাইনি তার বক্তৃতায়।
স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপারে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে; কিন্তু প্রয়োজন আরো বেশি। বৃদ্ধিটা যাবে বেতন ভাতাতেই। স্বাস্থ্য খাতে যন্ত্রপাতি, দক্ষ লোকের ব্যাপারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা বলেছিলাম এই খাতে বরাদ্দ জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ করার জন্য। তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের ব্যাপারে দুর্বলতা দেখছি। সে ব্যাপারে কোনো কিছুই পাইনি। কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্ব দেয়া দরকার ছিল। বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষিতে বরাদ্দ আরো বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। শস্য বীমার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু এটা আমরা মুহিত সাহেবের আমল থেকে শুনে আসছি। এখন উচিত ছিল এ ব্যাপারে তারা কী কী করবেন তা পরিষ্কার করে বলা। তা বলা হয়নি।
বিদেশী অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘাটতি অর্থায়নে বিদেশ থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়টা বাড়তে পারে। তবে এটা যদি সহজ শর্তে পাওয়া যায়। পাশাপাশি আমরা যদি সদ্ব্যবহার করতে পারি। এ ছাড়া আয়করের নেট বা ট্যাক্স নেট বাড়াতে হবে। -ডেস্ক