(দিনাজপুর২৪.কম) টেংরিয়া হরিপুর ঠাকুরগাঁও এলাকার মৃত আফিল উদ্দিনের কন্যা আঞ্জুয়ারা স্থানীয় ৮৫ জন গণমানুষের গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগসহ তার লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, পীরগঞ্জ জগধা এম,পি পাড়ার নিবাসী মৃত মোবারক হোসেনের পুত্র মোস্তফা কামাল ওরফে আকাশ ও ঝাড়বাড়ী হরিপুর এলাকার ফইজুর হোসেন এর পুত্র হুসেন আলী হরিপুর এলাকার চিিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী। মোস্তফা কামাল ওরফে আকাশকে সাথে ২০০৭ সালে আমার বিবাহ হইলে বিবাহের পর থেকেই আকাশ হরিপুরে হুসেন আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসছিল। আমি ও আমার ভাই হামিদুল, একরামুলসহ অনেকে আকাশকে এই বিপদগামী মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোন সৎ কর্মসংস্থানের জন্য তাগাদা দিতে থাকি। এমনকি মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী হওয়ার জন্য মাঝে মাঝে পুলিশ আকাশ ও হুসেনকে ধরতে না পেরে আকাশের স্ত্রী হিসেবে আমাকে ধরে নিয়ে হরিপুর থানায় নিয়ে যেত। আমার বিরুদ্ধে আদালতের হরিপুর থানা মামলা দায়ের করত। এ পর্যন্ত আকাশের মাদক ব্যবসার কারণে আমাকে ২ মাস ১৫ দিন জেল হাজতে কাটাতে হয়েছে এবং আকাশের কারণেই বিনা মাদকেই আমার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা চলমান। আমার সাথে এত কিছুর পরও আকাশ আমাকে শারীরিক নির্যাতন করত। নিরুপায় হয়ে আমি দীর্ঘ ১২ বছর সংসার জীবনের এহেন নির্যাতিত অবস্থায় এক ছেলে (১২) ও এক মেয়ে (৯) সহ অতিষ্ট হয়ে গত ২০১৯ সালে আমি তাকে এক তরফা লিখিতভাবে তালাক প্রদান করি। তালাক দেওয়ার পরেও আকাশ, হুসেন ও জাহিদুল আমার ভিটা বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করত এবং অনেক সময় তারা ফেন্সিডিলের ব্যাগসহ আমার বাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টা করত। আমি বাড়িতে থাকলে আশ্রয় না দেওয়ায় তারা আমার বাড়ির পিছনে আকাশের মা আনোয়ারা বেগমের নামে একটি ১৩ শতকের জমি ক্রয় করে এবং বাড়ি বানিয়ে মাদক ব্যবসার চেষ্টা চালাতে থাকে। বর্তমানে ঐ ১৩ শতক জমি সংলগ্ন মাদক ব্যবসায়ী হুসেন আলীর বাড়িতে এখন আকাশ ও হুসেন গং আস্তানা গড়ে তুলেছে এবং সেখান থেকে বিভিন্নভাবে আমার উপর মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এহেন নির্যাতিত অবস্থায় আমি ও আমার ভাই হামিদুর, একরামুল মিলে বাধা প্রদান করলে আকাশ, হুসেন ও জাহিদুল ক্ষীপ্ত হয়ে আমার ভাই হামিদুর ও তার স্ত্রী রুনাকে ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী ধারালো অস্ত্রসহ এসে আমার ভাই হামিদুর ও আমার বাড়ির ব্যাপক ভাংচুর এবং লুটপাট করে। আমার ভাবী রুনাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে আহত করে। এ ব্যাপারে আমি ১লা মার্চ ২০২০ সালে হরিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং-৩৭। ঐ মামলা দায়ের করায় আকাশ, হুসেন ও জাহিদুলগং আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়ে আকাশের ২য় স্ত্রীর বোন বর্নাকে দিয়ে আমার ভাইদের উপর একটি পরিকল্পিত মিথ্যা গণধর্ষন মামলা দায়ের করে। বিনা তদন্তে রেকর্ড হওয়া ঐ গণধর্ষন মামলার ১নং স্বাক্ষী সুজন (মোবাঃ ০১৩১৪২৭৫৯৯২) জানায়, গণধর্ষন মামলার বাদী বর্নার দুলাভাই আকাশ খবর দেয় সুজন, রাজু ও জাহিদুলকে গণধর্ষন মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে। সময়মত সুজন স্বাক্ষী দিলে তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, আর স্বাক্ষী না দিলে বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে বিভিন্ন মাদক মামলায় জড়ানো হবে। ২য় স্বাক্ষী রাজু (০১৮১৬৮৪৭৮৬২) এর সাথে কথা হলে স্বাক্ষী রাজু জানায়, আমি বর্না নামে কাউকে চিনি না। কিভাবে আমাকে স্বাক্ষী বানিয়ে গণধর্ষনের মত একটি মামলা রেকর্ড হলো তা আমার মোটেই বোধগম্য নয়। এ ঘটনা আমি জানতে পেরে এলাকাবাসীকে জানালে, আকাশ ও হুসেন গং আবারও আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাদেরকে ব্যাপকভাবে আহত করলে আমি গত ৬ অক্টোবর হুসেন, রিপন ও আকাশের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করি, মামলা নং-জিআর/২২৯/২০। বিষয়টি আমি এলাকাবাসীকে জানালে আকাশ, হুসেনগং আমাকেসহ আমাদের ভাইদের হত্যা করে লাশ গুম করা হবে বলে আমাকে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় আমি ও আমার ভাইদের নিয়ে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। দিনাজপুর নিমতলা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ পাঠের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার, হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য দায়িত্বশীল সকল মহলের নিকট আমাদের প্রতি এহেন নির্যাতন, মিথ্যা মামলা থেকে নি®কৃতি ও সর্বোপরি জীবনের নিরাপত্তার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন। -প্রেসব্রিফিং
Home বিভিন্নজেলা ঠাকুরগাও হরিপুরের নির্যাতিত আঞ্জুয়ারার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন