দেলোয়ার হোসেন বাদশা (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুর চিরিরবন্দরের হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না থাকায় ভাল দাম পাচ্ছেনগো-খামারিরা। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চিরিরবন্দরে জমে উঠেছে গরুর হাট । এ বছর হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে দেশি গরুর। ফলে এ বছর লাভের মুখ দেখছেন খামারিরা। এবার গরু বিক্রি করে এ অঞ্চলের খামারি ও চাষিরা গত দুই বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন। কোরবানির ঈদে দেশে গরুর চাহিদার অনেকটাই পূরণ করে থাকে দিনাজপুর অঞ্চলসহ চিরিরবন্দরের গোখামারিরা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলার গরুর ব্যাপারিরা এ অঞ্চলের গরু খামারি ও বাড়ি থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দিনাজপুরসহ চিরিরবন্দর হাট-বাজার গুলোতে যোগাযোগের সুন্দর ব্যবস্থা থাকায় দিনাজপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাবসায়ীদের কাছে এই হাটগুলোর গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রতি সপ্তাহের সোমবার- বুহস্পতিবার রাণীরবন্দর হাট , রবিবার- বুধবার কারেন্ট হাট বসে। গত বুধবার ও গতকাল শনিবার দুপুরে চিরিরবন্দর কারেন্টহাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাটে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। দূর-দূরান্ত থেকে গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা শতশত ট্রাক ও নসিমনে করে হাজার হাজার গরু নিয়ে আসছেন। ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু আমদানি হয়েছে। হাটে ভারতীয় গরু রয়েছে মাত্র ২ থেকে ৪ টি। ফলে দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। দাম বেশি হওয়ায় ছোট ও মাঝারি দেশি গরুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পরপর দুই বছর লোকসানের পর এ বছর গরুর ভাল দাম পাওয়ায় বেশ খুশি দিনাজপুরসহ চিরিরবন্দর উপজেলার গোখামারিরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারেক হোসেন জানান, উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় এই উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার গরু মোটাতাজাকরন করা হয়েছে । এগুলো চিরিরবন্দর হাট-বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে খামারীরা। তিনি আরো জানান, এই উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা পুরন করেও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কোরবানীর পশু সরবরাহ করছে । শুধুমাত্র সুষম গো খাবার সরবরাহ করে এই অঞ্চলের গরু মোটাতাজাকরন করার কারনে চিরিরবন্দরে কোরবানির পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ।