
আজ দুপুরে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগির হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
গত ৪ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের একটি বেঞ্চ মওদুদ আহমদকে তার গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হবে বলে নির্দেশ দেন। তবে এই রায়ের পর মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, তিনি বাড়িটি ছাড়বেন না এবং এ বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। পরে বুধবার দুপুর ১টার দিকে মওদুদ আহমদের বাড়ি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে রাজউক। বিকেল ৪টা নাগাদ তারা বাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। মওদুদের বাড়ির সরঞ্জাম গুলশানে তার একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেয়া হয়। 

গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কে প্রায় দেড় বিঘা জমির ওপর বানানো ১৫৯ নম্বর বাড়িটিতে প্রায় ৩ যুগ ধরে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বাড়িটি অবৈধভাবে দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।
২০১০ সালের ১২ আগস্ট ওই বাড়িটি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন করতে হাইকোর্ট রায় দেন। ২০১৬ সালের ২ আগস্ট মনজুর আহমেদের নামে মিউটেশন করতে দেয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ। পরে তারা রিভিউ করলে তাও রবিবার খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। -ডেস্ক