
আজ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ২টায় (বাংলাদেশ সময় পৌনে সকাল পৌনে ৭টা) নতুন করে ভূমিকম্প হয়।
ক্রাইস্টচার্চ শহরের উত্তর-পূর্বে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর আগে একই জায়গায় অনুভূত ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
দেশটির পূর্ব উপকূলে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কাজ শুরু করেছে এবং লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে শক্তিশালী কয়েকটি ভূকম্পন (আফটারশক) অনুভূত হয়। এর ফলে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রথম ভূমিকম্পের পর সমুদ্র উপকূলে দুই মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের উৎপত্তি হয়। এরপর কয়েকটি জায়গায় সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিও একই এলাকায়। যার পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। এতে দেশটিতে পানি সরবরাহে ও বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা যায়।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর কাইকৌরা টাউনে ধসে পড়া একটি বাড়ি থেকে শতবর্ষী এক নারী ও তার পুত্রবধূকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই বৃদ্ধার পুত্রের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিধসে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য কাইকৌরার প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি শহরটির টেলি যোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিচ্ছেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি সোমবার হেলিকপ্টারে করে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস হতাহতের সংখ্যা কমই থাকবে।
নিউজিল্যান্ডবাসী প্রায়ই ভূমিকম্পের মোকাবিলা করে থাকেন। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘আগ্নেয় মেখলা’ নামের ফল্ট লাইনের ওপর নিউজিল্যান্ড দ্বীপটির অবস্থানের কারণে এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
‘আগ্নেয় মেখলা’ প্রায় পুরো প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে রেখেছে এবং এই ভূ-চ্যুতি বরাবর প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত হয়। -ডেস্ক