মুহাম্মদ আবদুল কাহহার ঢাকা প্রতিনিধি (দিনাজপুর২৪.কম) অধিকাংশ আলেমদের মধ্যে অনৈক্য থাকায় প্রতিনিয়ত সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। এই দূরত্ব কমিয়ে আনতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে আমাদের সকলকে অবদান রাখতে হবে। ব্যাক্তি, গোষ্ঠী, দল ও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্নতা থাকলেও দাঈ ইলাল্লাহর ভূমিকায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গতকাল ০১ ডিসেম্বর শনিবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের হল রুমে দেশবরেণ্য উলামাদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ উলামা কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত “বিশ^নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবন ও কর্ম: উলামাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন বক্তারা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ কামাল উদ্দীন জাফরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক দেশবরেণ্য কবি ও লেখক মাও. রুহুল আমিন খান। সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম বিলালী, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা নাসিরুদ্দিন হেলালী, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান।
শেখ আবুল কালাম আজাদ আযহারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী, চরমোনাই ছোট পীর মাওলানা সাইয়্যেদ রশিদ আহমাদ ফেরদৌস, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম মাদানী, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক লেকচারার ড. মুসলেহ উদ্দিন, ছারছিনার ছোট পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির লেকচারার ড. হাসান মঈনুদ্দিন, উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, এটিএন বাংলার ইভিপি ড. শহিদুল ইসলাম বারাকাতী, টেকেরহাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা দ্বীন মোহাম্মাদ কাসেমী, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার হেড মুহাদ্দিস ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, খুলনার অধ্যাপক মাওলানা তৈয়েবুর রহমান, ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এর জামাতা ড. মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও মারকাজুশ শরীয়াহ বাংলাদেশ’র প্রিন্সিপাল মুফতি রফিকুন্নবীসহ অন্যান্য উলামায়েকেরাম।
প্রধান অতিথি কবি রুহুল আমিন খান তার বক্তব্যে বলেন, ঐক্য আল্লাহর দেয়া নেয়ামত, এই নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও পীর মাশায়েখসহ সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. এর চিন্তাধারা “আল-ইত্তেহাদ মায়াল ইখতেলাফ” অর্থাৎ মতানৈক্যসহ ঐক্য বাস্তবায়নে ভিন্নমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা জাফরী বলেন, জাতীর এই ক্রান্তিকালে আলেমদের মধ্যমপন্থী ও উদারতার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদও মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে আদর্শ মুসলিমের ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সাথে আলিমদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যাতে করে বিশ্বব্যাপী ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়া যায়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ কাজী মারুফ বিল্লাহ, শায়খ জামাল উদ্দিন, আব্দুল মান্নান আনসারী, হাফেজ মাওলানা মনোয়ার হোসাইন মোমিন, এ এইচ এম আবুল কালাম আযাদ, ড. মোঃ ইমরানুল হক, ক্বারী সরোয়ার হোসেন, মুফতী মুহাম্মদ জাকারিয়া, সাংবাদিক ও কলামিস্ট মুহাম্মদ আবদুল কাহহার, আনিসুর রহমান জাফরী, রিয়াজ বিন হেলালী, মাসুম বিল্লাহ আল মাদানী। সভায় ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মশিউর রহমান ও শিল্পী শাহাবুদ্দিন শিহাব। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে আগত শতাধিক খ্যাতিমান উলামারা উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.