(দিনাজপুর২৪.কম) জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কর্মসূচি। জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের জন্য এই জোট কতোটা গুরুত্বপূর্ণ? এ বিষয়ে ১৪ দলের শরীক বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন,”আওয়ামী লীগের জন্য অন্যান্য শরীক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলেই প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন যে ১৪ দল নিয়েই তিনি নির্বাচন যাবেন। কেননা জোটের প্রতিটি দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে স্বাভাবিকভাবে এসব দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনা এবং দেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ১৪ দলীয় জোটকে খুবই প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন শরীফ নুরুল।
১৪ দলীয় জোটের সামর্থ্য বিএনপি নতুন করে যে বৃহত্তর জোট তৈরির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দলটির পক্ষ থেকে যদি কোন কর্মসূচি দেয়া হয়, সেটা মোকাবিলা করার মতো সামর্থ্য ১৪ দলের কতোটা আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে জাসদ নেতা শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, “বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করলেও তারা কোনটাতেই তেমন সফল হতে পারেনি। কেননা ১৪দলকে আলাদাভাবে রাজপথে মোকাবিলা করার মতো পরিস্থিতি বিএনপির নেই।” তার মতে, নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে এবং সে জনপ্রিয়তা নিয়ে তারা বিএনপিকে নির্বাচনে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। এছাড়া সরকার আইনের শাসন রক্ষা করতে গিয়ে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করতে গিয়ে বিএনপি দাঁড়াতে পারছে না বলেও তিনি মনে করেন। বিএনপি ইতোমধ্যেই ২০ দলীয় যে জোট গঠন করেছে সেটার ভেতরে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীকে রাখাও বিএনপির পতনের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন শরীফ নুরুল।
জোটের প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১৪ দলীয় জোটের আদতে প্রভাব কতোটা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ইস্যু মোকাবিলায় ১৪ দলের যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে। এজন্য জোটের তিনটি মূলভিত্তির কথা তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হল, প্রথমত, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নমূলক কাজের ভিশন। তৃতীয়ত, সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান। এই বিষয়গুলো সামনের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করবে বলে তিনি মনে করেন।তবে ১৪ দলীয় জোটের সবগুলো দল সক্রিয় না থাকায় তাদের নিয়ে প্রধান সমালোচনার জায়গাটি হল, দলগুলোর এক ধরণের আওয়ামী লীগ নির্ভরতা রয়েছে।সেই জায়গা থেকে এই বৈশিষ্ট্যগুলো রক্ষা করা কতোটা সম্ভব, এমন প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।সেক্ষেত্রে সমস্যাগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মপন্থার মাধ্যমে অবশ্যই নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন এই জাসদ নেতা।
তবে সরকার প্রতিটা রাজনৈতিক ইস্যুকে যেভাবে মোকাবিলা করছে। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে কিন্তু সেভাবে কিছু করা হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি। তবে তার আশা যে ঘাটতিগুলো আছে সেগুলো নির্বাচনের সময় পূরণ হয় যাবে।কারণ নির্বাচন দলের পক্ষ থেকেই হবে। নির্বাচন তো আর সরকার করবে না। সেক্ষেত্রে এই ঘাটতিগুলো থাকার কোন সুযোগ নেই। সূত্র : বিবিসি বাংলা -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.