(দিনাজপুর২৪.কম) লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৪ই জুন মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। আবারও সেই লুঝনিকি স্টেডিয়াম। এখানেই পর্দা নামবে ২১তম বিশ্বকাপের। ৩২ দলের ৬৩ ম্যাচ শেষে এখন টিকে আছে মাত্র ২ দল। শেষ লড়াইয়ে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি। ক্ষণ গণনা শুরু।
ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া পরস্পর মুখোমুখি হয়েছে ৫ ম্যাচে। ফরাসিরা জয় পেয়েছে ৩ ম্যাচে এবং ড্র হয় ২ ম্যাচ। বিশ্বকাপে ১ বারের দেখায় জয় পেয়েছিল ফ্রান্স।
তৃতীয়বারের মত ফাইনালে খেলছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে অর্জন করেছিল তাদের একমাত্র শেষ্ঠ্রত্বের ট্রফি। আর ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে ইতালির কাছে খুইয়েছিল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এবার জয় পেলে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলবে তারা।
ফ্রান্স প্রথম রাউন্ডের ৩ ম্যাচের ২ টিতে পায় জয়ের দেখা এবং ১ ম্যাচে করে ড্র। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা হয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্স ৪-৩ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারায় এবং কোয়ার্টার ফাইনালে ২-০ গোলে জয় পায় উরুগুয়ের বিপক্ষে। সেমিতে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত পা রাখে ফাইনালে।
ক্রোয়েশিয়ার এটিই প্রথম ফাইনাল ম্যাচ। তাই এই ম্যাচে জয় পেলেই অভিষেক শিরোপায় নাম লেখাবে ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের খেলা প্রথম বিশ্বকাপে ক্রোয়েটরা ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে হয়েছিল চার নম্বর, এটিই ছিল তাদের এতদিন গৌরবের অধ্যায়।
ক্রোয়েশিয়া প্রথম রাউন্ডে ৩ ম্যাচেই জয় নিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয় পায় তারা। কোয়ার্টারে আবারও সেই টাইব্রেকারে হারায় স্বাগতিক রাশিয়াকে। সেমিতে পিছিয়ে থেকেও ২-১ গোলের জয় ছিনিয়ে নেয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
হুগো লরিস (গোলরক্ষক, অধিনায়ক), স্যামুয়েল উমতিতি, রাফায়েল ভারানে, লুকাস হার্নান্দেজ, বেনজামিন পাভার্দ, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, এনগোলা কন্তে, পল পগবা, অলিভিয়ের জিরু, মাতুইদি ও কাইলিয়ান এমবাপ্পে।
ফরমেশন: ৪-২-৩-১
ড্যানিয়েল সুবাসিচ, সিমে ভ্রাসালকো, ইভান স্ট্রিনিচ, ডেজান লভরেন, ডোমাগজ ভিদা, ইভান রাকিটিচ, লুকা মদরিচ (অধিনায়ক), ইভান পেরিসিচ, ব্রোজোভিচ, মারিও মানজুকিচ, আনতে রেবিচ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.