(দিনাজপুর২৪.কম) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয়েছিল কলম্বিয়া ও ইংল্যান্ড। খেলা শেষ অবদি ট্রাইবেকারে গড়ায়; আর জয় পায় ইংলিশরা। তবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মতে, ইংল্যান্ডের এই জয় ছিল ‘ডাকাতি’র সমতুল্য। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন কলম্বিয়ার অধিনায়ক রাদামেল ফ্যালকাও। তিনি রেফারি মার্ক গিইগারের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি আমেরিকান এই রেফারির আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেন ফ্যালকাও। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, ম্যাচ চলাকালে দুই দলের মধ্যে উত্তাপ নিরসনে প্রায়ই যুঝতে হয়েছে রেফারিকে। ম্যারাডোনার মতে, খেলা শেষের ঠিক আগে আগে ইংল্যান্ডকে পেনাল্টি উপহার দেওয়া দূরে থাক, রেফারির উচিত ছিল কলম্বিয়ার কার্লোস সানচেজকে ফাউল করার অপরাধে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইনকে শাস্তি দেওয়া। অথচ, ওই পেনাল্টিতে গোল দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন এই বিশ্বকাপে ফর্মের তুঙ্গে থাকা স্ট্রাইকার কেইন। ভেনেজুয়েলা-ভিত্তিক টেলেসুর টিভিতে বিশ্বকাপ-ভিত্তিক রাতের এক অনুষ্ঠানে ম্যারাডোনা মন্তব্য করেন, ‘এক ভদ্রলোক এই খেলার নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। এই রেফারির ব্যাপারে আপনি গুগলে খুঁজে দেখুন। তাকে এত বড় ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়া উচিত হয়নি। রেফারি গেইগার একজন আমেরিকান! কী যে এক কাকতালীয় ব্যাপার!’ ম্যারাডোনাকে অবশ্য ম্যাচের পূর্বে কলম্বিয়ার জার্সি গায়ে দেখা গিয়েছিল। টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, কলম্বিয়ার ইয়েরি মিনা যখন একেবারে শেষ দিকে সমতায় ফেরান, তখন উল্লাস করছিলেন এই কিংবদন্তি। এছাড়া ইংল্যান্ডের সঙ্গে তার দ্বৈরথ বহুদিনের পুরোনো। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সেই কুখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি ছিল ইংল্যান্ডেরই বিরুদ্ধে। খেলায় চেলসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন স্ট্রাইকার ফ্যালকাও সহ কলম্বিয়ার ছয় খেলোয়াড় কার্ড দেখেছেন। অপরদিকে ইংল্যান্ডের হয়ে কার্ড দেখেছেন মাত্র দুই জন। ফ্যালকাও ম্যাচ শেষে বলেন, ‘রেফারি আমাদের অনেক ভুগিয়েছেন। ৫০-৫০ চান্স ছিল যেসব ক্ষেত্রে, সেখানে তিনি প্রত্যেকবার ইংল্যান্ডের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি দুই দলকে একই মানদ-ে মাপেন নি। যেসব ব্যাপারে সংশয় ছিল, তখন তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষালম্বন করেছেন।’ ম্যারাডোনার মতো ফ্যালকাও বলেন, ‘আমি একে বেশ অদ্ভুত বলবো যে, ইংল্যান্ডের খেলায় তারা আমেরিকান রেফারিকে দায়িত্ব দিল। সত্যি বলতে, এই প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ জন্মানোর কারণ আছে অনেক।’ কলম্বিয়ার ক্যারাসল রেডিও স্টেশন তাদের ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিল ‘মার্ক গেইগার – যে রেফারি কলম্বিয়ায় সবচেয়ে ঘৃণিত।’ দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা এল টিয়েম্পো রেফারিকে ‘বিতর্কিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। নিজেদের প্রতিবেদনে পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, অতীতে বেশ কয়েকটি বাজে ভুল করেছিলেন এই রেফারি। কনকাকাফ ও প্রীতি ম্যাচেও। কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যমে দলের ‘লড়াকু’ পারফরম্যান্সের প্রশংসা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দলের ইনজুরি-আক্রান্ত তারকা খেলোয়াড় ও বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার জেমস রড্রিগেজকে ছাড়াই এই ম্যাচে খেলতে নেমেছিল কলম্বিয়া। খেলা শেষে অনলাইন প্রতিবেদনে আরসিএন নটোসিয়াস টিভি লিখেছে, ‘ধন্যবাদ, যোদ্ধারা! মাথা উঁচু করেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল কলম্বিয়া।’ এল পেইসের শিরোনামও ছিল কাছাকাছি: ‘ধন্যবাদ, যোদ্ধারা!’ -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.