তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সুস্থ কিনা এমন প্রশ্নে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, আপাততদৃষ্টে তাকে সুস্থ মনে হয়েছে। তার জন্য আমরা হুইল চেয়ার রেখেছিলাম। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, হেঁটেই যেতে পারবেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত চারজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে হাড়ের বিভিন্ন অংশে এক্স-রে করা হয়েছে। তারা হলেন- ডা. মামুন, ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. ওয়াহিদুর রহমান ও ডা. শুভ।
আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জন্য যে চার সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছিল তাদের পরামর্শ অনুযায়ী এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকালই এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে। আগামীকাল আমরা এই রিপোর্ট কারা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেব। তারা আবার মেডিকেল বোর্ডকে পাঠাবে।
বেলা সাড়ে ১১টার পর কারাগার থেকে হাসপাতালে পৌঁছালে অধ্যাপক এম আলী, ডা. ফয়েজুর রহমান, ডা. এস এম সিদ্দিক ও ডা. মো. মামুনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল পরিচালক আব্দুল্লাহ আল হারুন খালেদা জিয়ার কেবিনে যান। তাদের মধ্যে ডা. মামুন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক। অন্য তিন চিকিৎসকও খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত চিকিৎসক দলের সদস্য নন।
এর আগে, সকালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয় বলে জানান বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি জানান, এই বোর্ডে যাঁরা আছেন তাঁরা নিবিড়ভাবে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।
পরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড রয়েছেন- ড. ওয়াহিদুজ্জামান, ড. এস এম সিদ্দিকী ও মামুন রহমান। খালেদা জিয়ার চাহিদানুযায়ী তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন রহমানকে চেকআপ করার অনুমতি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক থাকুক, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছিলাম।’
এর আগে, গত ১ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি চিকিৎসকদল কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.