(দিনাজপুর২৪.কম) নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে চিকিৎসার জন্য তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত আইভী বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বেশি অসুস্থ অনুভব করেন। এরপর কয়েকবার বমি করলে তাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছিলো। তবুও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। এরপর বিকাল ৪ টায় মেয়র আইভীকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার দিকে রওনা হয়।
মেয়রের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ-২) আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘মেয়র বিকালে নিজ কার্যালয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। এ সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। বমি বমি ভাব হলে তিনি বাথরুমে গিয়ে বমি করেন। পরে বের হয়ে স্যালাইন খান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়র অসুস্থ হয়ে পড়লে সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল অফিসার গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চিকিৎসকরা এ সময় তার প্রেসার লো পাচ্ছিলেন। তাকে তাৎক্ষণিক স্যালাইন পুশ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় রওনা দেন স্বজনরা।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন থেকে হকার উচ্ছেদ নিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আহত হওয়ার কথা বলেছিলেন আইভী। তবে বুধবারও তিনি নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইভী সেখানে দাবি করেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা হয়েছিল এবং এর পেছনে ছিলেন সাংসদ শামীম ওসমান।
অন্যদিকে চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নগর আওয়ামী লীগের নেতা শামীম দাবি করেন, ওই সংঘর্ষ ছিল সিটি করপোরেশনের সঙ্গে হকারদের; তার সঙ্গে আইভীর ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই।
এর আগে, সংঘর্ষের বিষয়ে বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছিলেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আধাঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলাম, তখন পুলিশ আসতে পারতো। ত্বকী হত্যার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আন্দোলনে তো আমিই ছিলাম। তখন তো পুলিশ চলে আসতো মাঝখানে। একতরফা এভাবে কেউ মার খাইনি।
‘‘আমার দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কর্মীকে আহত করলো। আমার কর্মীদের সবার মাথা ফাঁটা। আমার ভাই আহত, আমি হাঁটতে পারি না। প্রশাসন আমাকে ইনফর্ম করতে পারতো। বলতে পারতো, ওখানে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে, আপনি যাবেন না ওখানে। আমরা যারা মানুষের জন্য কাজ করি তারা জন্মমৃত্যু নিয়েই কাজ করি।’’ -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.