স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুর বড় মাঠে অনুষ্ঠিত ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে মানুষের ঢল নামে ইজতেমা মাঠে। বাদ ফজর হতে বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে সমবেত হন। ওই দিন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ সমাজের প্রভাবশালী মানুষের মাঝে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত পেশ করেন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ও গোর-এ-শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহল, প্রভাবশালী ও বিশিষ্টজন, ওলামায়ে কেরাম এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা করেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা। এ সময় সমাজের শিক্ষিত, প্রভাবশালী ও উচু শ্রেণির লোকজন কিভাবে মানুষের মাঝে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে পারেন এবং এই দাওয়াতের কিভাবে প্রভাব পড়ে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বাদ জুমা, বাদ আসর ও বাদ মাগরিব সাধারণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান পেশ কনে মুরব্বিরা। শুক্রবার সকাল থেকে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাবলীগ জামাতের অনুসারীসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড়ে ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। শহর ও আশপাশের এলাকা হতে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য হাজার হাজার মানুষ ইজতেমা মাঠে সমবেত হন। বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে এই আশা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ ইজমেতা মাঠে জুমার নামাজের জামাতে শরিক হন। ফলে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। দিনাজপুর বড়মাঠ যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বাদ জুমা বয়ান করেন মাওলানা মোঃ সোহেল, বাদ আসর বয়ান করেন মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন ও বাদ মাগরিব মাওঃ রবিউল হক। দিনাজপুর তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) আলহাজ্ব মো. লতিফুর রহমান জানান, শনিবার শেষ দিনে কাকরাইলের মুরব্বি ও বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) মাওলানা মো. রবিউল হক মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান পেশ করবেন। শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শেষ হবে। কাকরাইলের মুরব্বি ও বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমির (জিম্মাদার) মাওলানা মো. রবিউল হক আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন বলে জানান লতিফুর রহমান। এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবায় দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী দিনাজপুর শাখা ও ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল দিনাজপুর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এখানে আগত রোগিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। অপরদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠের চার পাশে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য ৬টি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে রাব-পুলিশের সার্বক্ষনিক টহলদল। এছাড়া সাদা পোষাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন ইজতেমা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.