আফজাল হোসেন (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীনদের আর্তনাদ খনিকর্তৃপক্ষ ক্ষতি গ্রস্থদের পাওনা পরিশোধ না করে তালবাহানা করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও তার নিজ তহবিল হইতে খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীনদের জন্য মাইনিং সিটি বা পূর্ণবাসনের পরিবর্তে আশ্রয়ন প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়ল খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীনদের পূর্ণবাসনের নামে তাদেরকে একপ্রকার উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন খনি মন্ত্রনালয়। ৩১৮ জন ভূমিহীনের মধ্যে ২৯৬ জন ভূমিহীন করা হয়। বাঁকী ২৩ জন ভূমিহীন হবে কিনা তা নিয়ে সন্ধিহান ভূমিহীনেরা। সমঝোতা মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার প্রতিটি পরিবার হতে এক (০১) জন করে চাকুরী প্রদান করার কথা ছিল। বর্তমানে তা না করে বহিরাগতদের অর্থের বিনিময়ে চাকুরী প্রধান করা হচ্ছে। আর্ন্তজাতিক মানের অবকাঠামোর মূল্য এবং জমির মূল্য একর প্রতি ৩৫/৪৫ লক্ষ টাকা হিসেবে ৩২৪ কোটি টাকা প্রদানের কথা থাকলেও বাস্তবে একনেকে পাস করে জমির মূল্য ২০/২৫ লক্ষ টাকা একর হিসেবে ১৯০ কোটি টাকা প্রদানের কথা ছিলো। সেখানে ১৫০ কোটি টাকা প্রদান করে এখন পর্যন্ত ৪০ কোটি টাকা প্রদান না করে নানা অজুহাতে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীনদের হয়রানী করা হচ্ছে। এখনো অনেকে টাকা পায়নি। তাছাড়া হামিদপুর ইউপির মুল রাস্তা ফুলবাড়ী থেকে খয়েরপুকুর পর্যন্ত এর অনেক আংশ খনি এলাকায় যা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খনি কর্তৃপক্ষের বাইপাস রাস্তা করে দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন বছরে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীনদের সংগঠন বড়পুকুরিয়া ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীন মৎসজীবি সমবায় সমিতীর একজন কার্যকারী সদস্য মোঃ অহিদুর হক বলেন, যে সম্পৃর্ণ পাওনা ও বাকী ভুমিহীনদের পাওনা টাকা না দেওয়া পর্যন্ত এলাকাবাসীর একজনকেও উচ্ছদ করা যাবে না। বর্তমান আশ্রয়ন প্রকল্প অসম্পূর্ণ যেমন-পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই, রাস্তা নেই, সুপেয় পানির অভাব, বিদ্যুৎ অভাব, মসজিদ, কবর স্থান হাট-বাজার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা নেই। এই এলাকার মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এলাকার মানুষকে যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অদোও বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থরা এখন এলাকায় কেঁদে বুক ভিজাচ্ছেন। কে দেবে এদেরকে সান্তনা? যারা আন্দোলনে এলাকার মানুষকে নিয়ে খেলছিলেন এখন তারা কোথায়? এখন তারা গা ঢাকা দিয়ে কয়লা খনি এলাকায় কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে বড় বড় স্থাপনা ও ব্যবসা নিয়ে মেতে উঠেছেন। যাদের কৃষি জমি, বসত ভিটা, কবর স্থান, মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন তাদের অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। দেশের উন্নয়ের স্বার্থে অত্র এলাকার মানুষ স্থাবর, অস্থাবর সহায় সম্পতি সবকিছু সরকারের নিকট দিয়ে তার বিনিময়ে তারা আজ অসহায় জীবন যাপন করছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগযোগা করা হলে তিনি জানান বাকী কাজগুলো করে দেওয়া হবে পর্যাক্রমে। তবে কবে এসব কাজকর্ম শুরু হবে তার সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.