আতিউর রহমান আতিক (দিনাজপুর২৪.কম) বিরলে ২০০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে বোর্ডের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বেঁধে দেওয়া অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ বিজ্ঞান বিভাগে ২হাজার ১০০ টাকা, মানবিক ও বানিজ্য বিভাগে ২ হাজার টাকা করে ফরম পুরণ ফি নির্ধারণ করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক পত্রে উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষার ফি নিয়মিত এবং অনিয়মিত প্রতি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতি পত্রে ৮০, ব্যবহারিক ২০, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ৩৫ টাকা, মুল সনদ ফি ১০০ টাকা, বয় স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি ৫ টাকা এবং বার্ষিক ক্রীড়া এফিলিয়েশন ফি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি ৩০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। ব্যবহারিক পরীক্ষা যে সব পরীক্ষার্থীর আছে জনপ্রতি ৩০০ এবং যাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেই তাঁদের জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে বোর্ড ফি পরিশোধ করতে হবে। ২১ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পুরণ করতে হবে। বোর্ডের নির্ধারিত ফি থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিরল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হাসান দুলুর কাছে বিজ্ঞান বিভাগে ২ হাজার ১০০ ও মানবিক বিভাগে ২ হাজার টাকা ফরম পুরণ ফি নির্ধারণের খাত ওয়ারী হিসেব জানতে চাইলে তিনি তাঁর কোন হিসেব দিচ্ছেন না বলে জানান। বিরল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক সদস্য বলেন, ফরম পুরণের সময় বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছে অতিরিক্ত ২৫০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। গত মঙ্গলবার বিকেলে বিরল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনা রশিদে টাকা গ্রহণ করে একটি স্লিপ শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিতে দেখা গেছে। ফরম পুরণের টাকা দিয়ে রশিদ চাইলে স্লিপটাই রশিদ বলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশি টাকা আদায়ে অভিযুক্ত হলে সকল বিদ্যালয় অভিযুক্ত হবে বলেও জানান। কিন্তু উপজেলার ৪৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ বোর্ডের নির্ধারিত ফি তোয়াক্কাই করছেন না। তাঁদের ইচ্ছে মতো ফরম পুরণে অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ করেছেন। সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিরল উপজেলার পরীক্ষার্থীর অভিভাবকগণ সন্তানদের ভবিষ্যত চিন্তায় ধার দেনা করে অতিরিক্ত ফি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচেতন অভিভাবকবৃন্দ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.