(দিনাজপুর২৪.কম) গত কয়েক মাস ধরে নিত্যপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতিতে বাজার বেসামাল। কখনও চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা, কখন ও বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা কাঁচামরিচের দাম। পেয়াজ প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বাড়তি এ দাম শুধু কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ বা চালেই নয়। গত কয়েক মাসে দাম বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যে। দাম বাড়েনি এমন পণ্য খুজে পাওয়া দায়। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগতহারে বেড়ে চলছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে ৬ থেকে ৭ টাকা বাড়ার পর পেঁয়াজের দাম এখন দ্বিগুণ। গত কয়েক সপ্তাহ আগে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দামে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি কাঁচামরিচের দামও। এছাড়া বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাল ও কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও তা এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। বর্তমান বাজারে সাধারণ মানুষের এখনও অস্বস্তি রয়ে গেছে চালসহ সব ধরনের সবজিতে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, মহাখালী ও কারওয়ানবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৬০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা ও পারিজা চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৭ টাকা দামে। এছাড়া মিনিকেট কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে (ভালো মানের) ৬০, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৬, বি আর-আটাশ ৫৫, ভারতীয় বি আর-আটাশ ৫০, নাজিরশাইল (উন্নত মানের) ৬৫, নাজিরশাইল (নরমাল) ৫৫, হাস্কি ৫৫, পাইজাম চাল ৫০, বাসমতি ৬৫-৭০, কাটারিভোগ ৭০-৭৫ এবং পোলাও চাল ৮৫-১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এই দামের সঙ্গে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা পর্যালোচনা করে কিছুটা পার্থক্য দেখা গেছে। টিসিবির মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, মিনিকেট (ভালো মানের) কেজিপ্রতি ৬০-৬৬, মিনিকেট (নরমাল) ৬০-৬২, বি আর আটাশ কেজিপ্রতি ৪৮-৫৫ এবং মোট স্বর্ণা চাল ৪৪-৪৮ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেগুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকা দামে। এছাড়া শিম ১০০, হাইব্রিড টমেটো ১২০, শশা ৭০, চাল কুমড়া ৫০-৫৫, কচুর লতি ৭০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০া, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, করলা ৬৫, কাকরোল ৫৫, পেঁপে ৪০-৫০, কচুরমুখী ৬০-৬৫ ও আমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৩৫, বাঁধাকপি ৩০, লেবু হালিপ্রতি ২০-৪০, পালং শাক আঁটিপ্রতি ২০, লালশাক ২০, পুঁইশাক ৩০ এবং লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে কেজিপ্রতি ছোলা ৮৫, দেশি মুগ ডাল ১৩০, ভারতীয় মুগ ডাল ৯০, মাসকলাই ১২৫, দেশি মসুর ডাল ১২০, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০, প্রতিলিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিপ্রতি দেশি রসুন ১১০, আমদানি করা ভারতীয় রসুন ১২০ এবং আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা দরে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি রুই মাছ ২৮০-৪০০, সরপুঁটি ৩৮০-৪৫০, কাতলা ৩৫০-৪০০, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ ও সিলভার কার্প ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতিকেজি ১২০-২৫০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০-৮০০, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০, ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি গতকালের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫৫ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি ১৮০, দেশি মুরগি প্রতিপিস ৪৫০, পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। মহাখালী বাজারের বিক্রেতা মামুন হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, সবজির দাম শীতের আগে কমবে বলে মনে হয় না। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে, দাম বাড়ছে বলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। শীত না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। আজিজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, এমনিতেই প্রতিনিয়ত বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়িরা কোন অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গত দুদিন বৃষ্টি হচ্ছে, এই অজুহাতে ব্যবসায়িরা সকল পণ্যে দাম ফের বাড়িয়েছে বলে তিনি বলেন।-ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.