(দিনাজপুর২৪.কম) বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা ভগ্নিপতির লালসার শিকার হয়ে জীবন দিলো ১১ বছরের শিশু রোসেনা। ভগ্নিপতির ডাকে ঘর থেকে বেরিয়ে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে অবুঝ এই শিশুকে। পৈশাচিক উন্মত্ততায় বর্বর ভগ্নিপতি শাহীন (২৩) শিশুটির কচি হাত-পা বেঁধে তার লালসা চরিতার্থ করে। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে শ্বশুরবাড়ির পেছনের একটি ধইঞ্চা ক্ষেতে শিশুটির নিথর দেহ ফেলে রেখে গা-ঢাকা দেয় এই নরপশু। ঘটনাটি ঘটেছে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের আলিয়াপাড়া শেখ নবিনপুর গ্রামে। নিহত রোসেনা আলিয়াপাড়া শেখ নবিনপুর গ্রামের ফাইজুল ইসলামের কন্যা। সে টেংগুরিয়া দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। অন্যদিকে ঘাতক ভগ্নিপতি শাহীন একই উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ভাটিভরাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার জানিয়েছে, শাহীনের সাথে বছরখানেক আগে ফাইজুল ইসলামের দ্বিতীয় মেয়ে সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শাহীনের সঙ্গে সুলতানার নানা বিষয় নিয়ে কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে তিন মাস আগে অন্তঃস্বত্ত্বা সুলতানাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন ফাইজুল ইসলাম। এরপর থেকে সুলতানা আলিয়াপাড়া শেখ নবিনপুর গ্রামের বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। মাসখানেক আগে শাহীন মান অভিমান ভুলে যাওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে সে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিল।
সুলতানার ভাই আলআমিন জানান, বাড়ির একটি আলাদাঘরে অন্তঃসত্ত্বা সুলতানার সঙ্গে ছোট বোন রোসেনা থাকতো। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ঘর থেকে ভগ্নিপতি শাহীন রোসেনাকে বাইরে ডেকে নেয়। পরে হয়তো রোসেনা ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েছে, এই ভেবে রাতে পরিবারের কেউ আর রোসেনার খোঁজ নেয়নি। শুক্রবার সকালে বাড়ির পেছনের একটি ধইঞ্চা ক্ষেতে রোসেনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় রোসেনার লাশ উদ্ধার করে। নিকলী থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে তারা আলামত দেখে ধারণা করছেন। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ফাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহীনকে একমাাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পৈশাচিক এই হত্যাকা-ের ২৪ ঘন্টারও কম সময় আগে বৃহস্পতিবার সকালে ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিঘা গ্রামে চাচাতো ভাই ইমান আলী (৬০)-এর ছোঁড়া ঢিলে হযরত আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা যান। নিহত হযরত আলী গোরাদিঘা গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে হযরত আলী ও তার সম্পর্কে চাচাতো ভাই ইমান আলীর মধ্যে রৌদ্রে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে ইমান আলী শক্ত মাটির ঢেলা দিয়ে ঢিল ছোঁড়লে হযরত আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিকলী থানায় পৃথক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে ওসি মো. নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া জানিয়েছেন। -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.