(দিনাজপুর২৪.কম) ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে উদযাপিত হয়েছে সূর্য্য পূজা। সূর্য্য পূজাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ছট পূজা। প্রতি বছর কালী পূজার পর শুকা¬ পক্ষের ষষ্টি তিথিতে নদীর তীরে সূর্য্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা উদযাপন করা হয়। দিনাজপুর পুনর্ভবা নদীতে মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দুরীকরনসহ বিভিন্ন মানত পুরনে হিন্দু ধর্মালম্বীর হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূর্ণার্থীর সমাগম ঘটে এই সূর্য্য পূজায়। নদীর তীর কানায় কানায় পূর্ন হয়ে উঠে পূর্ণার্থীদের পদচারনায়। সূর্য্য পূজার প্রথম দিনে ৬ নভেম্বর রোববার বিকেলে পূজারীরা উপবাস থেকে ফুল, প্রসাদ, বাদ্য-বাজনাসহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী নিয়ে দিনাজপুরের পূর্ণভবা নদীর তীরে উপস্থিত হয়। সেদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত পূন্যার্থীরা নদীতে গোসল ও কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে সূর্য্যরে দিকে মুখ করে কুলায় সাজানো প্রসাদ নিয়ে পূজা শুরু করে। সূর্য্য অস্ত যাওয়ার পর সকলেই বাড়িতে ফিরে যান। আবার পরের দিন ৭ নভেম্বর সোমবার নদীর তীরে উপস্থিত হয়ে সূর্য্য উদয় হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত থেকে একই নিয়মে পূজা শুরু করেন তারা। সূর্য উদয় হওয়ার পর সূর্যকে প্রণাম করে নদীতে ¯œান এবং সরবত পানের মধ্যে দিয়ে শেষ করেন সূর্য্য পূজা। সূর্য্য পূজা করতে আসা ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত ও শুক্লা সাহা বলেন, আমরা সূর্য্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতেই এই পূজা করে থাকি। এই পূজাকে ছট পূজাও বলা হয়। ছট পূজার মাধ্যমে সূর্য্য দেবতা সন্তুষ্ট হয় আর আমাদের মনোবাসনা, মানত পুরন করে দেয়। এই আশায় আমরা প্রতি বছর এই ছট পূজা করতে আসি এই পুনর্ভবা নদীর তীরে। এছাড়াও সকলের শান্তি কামনায় এই পূজা করা হয়। এদিকে সূর্য্য পুজা হিন্দু ধর্মালম্বীর হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়ের হলেও পুনর্ভবা নদীতে ওই পূজা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন খেলনা ও খাবার দোকান নিয়ে বসে সেখানে। -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.