আঃ রহিম, সিরাজগঞ্জ (দিনাজপুর২৪.কম) স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় হাসপাতাল-২ শাখা বাংলাদেশ সচিবালয় কর্তৃক গত ০২/০৩/২০১০ ইং তারিখে সংশোধিত পরিপত্র অনুযায়ী হাসপাতাল ইউজার ফি নির্ধারণ করেণ। যাহার নিয়ম অনুযায়ী কাজিপুর হাসপাতালের সাথে তেমন কোন মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি। দন্ত বিভাগের বেহাল দশা। আলট্রা ¯েœা গ্রামে সীমাহীন দুর্নীতি। ডিজিটাল ইসিজি সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত। সিজার এবং নরমল ডেলিভারীর ক্ষেত্রে উচ্চতর ঘুসের বাজার। সেনেটারী ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব অবহেলা। মাতৃ প্রসব ও অপারেশন বিভাগঃ পৃথিবীর সবচেয়ে কষ্টদায়ক যন্ত্রনা হচ্ছে ডেলিভারী পেইন। রোগীকে ঝুকি মুক্ত প্রসব করার জন্য যখনী কোন মাকে হাসপাতালে আনা হয় তখনি প্রশ্ন ওঠে কষ্ঠের মূল্যের কথা। কমপক্ষে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা না দিলে অত্র হাসপাতালে ডেলিভারী করা সম্ভ হয় না। তাৎক্ষনিক পাঠিয়ে দেয় সিরাজগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এবং টাকা দিলে সম্ভব হয় কাজিপুর হাসপাতালে। ঠিক তেমনি অপারেশ বিভাগে একই দশা। আয়া চায়না খাতুনকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা না দিলে প্রতি রুমের প্রস্তুতি কাজ সম্ভব হয় না। বাচ্চাকে হস্তান্তর করার সময় ৫০০ টাকা না দিলে নবজাতক শিশু মুখ দেখতে দেরী হয়ে যায়। তেমনী কর্তব্যরত অজ্ঞান ডাক্তার ও সার্জনকে ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা না দিলে অস্ত্র পাচার করতে অসম্মতি জানায় এবং টাকা দিলে সবকিছু সম্ভব হয়। যেমন- গত ০৩/০৯/২০১৬ ইং তারিখে মৌসুমী, স্বামী শাহাদত, গ্রাম কবিহার, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ এর নিকট থেকে সার্জন ফি ৩৫০০ টাকা ও আয়া চায়না খাতুনকে ৫০০ টাকা নগদ দেওয়ার পরে তার অপারেশন কাজ শুরু হয়। এই ভাবে প্রতি নিয়ত কাজিপুর হাসপালে অবৈধ বানিজ্য চলছে। এ্যাম্বুলেন্স পরিপত্র অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের ভাড়া ৩০০ টাকা পৌরসবা ২০০ টাকা কিন্তু ভাড়া নিচ্ছেন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। দুরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১০ টাকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে। যেমন- সিরাজগঞ্জ দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। ভাড়া নিচ্ছেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। বগুড়া দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার ভাড়া নিচ্ছেন ১৪০০ টাকা এবং ঢাকা ভাড়া হচ্ছে ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা। এ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয় গ্যাস কিন্তু ড্রাইভার ও আর্বাসিক মেডিকেল অফিসার জোক সাজোসে জ্বালানীর বিল করেন পেট্রোল তেলের। দন্ত বিভাগ সরকারী ভাবে আর্থিক লেনদেনের কোন নিয়ম নেই। কিন্তু টাকা ছাড়া কোন চিকিৎসা হয়না। আলট্রা ¯েœা গ্রামঃ দৈনিক অবৈধ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পালা ক্রমে ডাক্তাররা পিপি ও কে ইউ বি সরকারি ফি ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে নিচ্ছে ২৫০ টাকা। হোল এ্যাবডুমেন ২২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে নিচ্ছেন ২৫০ টাকা। এই ভাবে রোগীদের চোখে নীল চশমা পড়িয়ে বানিজ্য করে চলছেন ডাক্তাররা। ডিজিটাল ইসিজি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন রোগীরা। পাঠিয়ে দিচ্ছেন বাহিরে ক্লিনিকে। প্যাথলোজি ও এক্স-রি বিভাগে রেজিস্টার অনুযায়ী ক্যাশ কাউন্টারের সাথে তেমন কোন মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইমারজেন্সী ও স্যানেটারী ইন্সপেক্টর এর উপর অর্পিত দায়িত্বের বিষয়ে সরকারী-বেসরকারী হাটবাজারে পরিষ্কার পরিছন্নতা বিষয়ে প্রতি মাসে এক থেকে দুইবার সচেতন করেছেন কিনা যা জনগণের চোখে পড়ে নাই। সু-স্বাস্থ্যের জন্য অঙ্গীকার ভেঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়কে ভেঙ্গে দিয়ে গঠন করে চলেছে বানিজ্য হাসপাতাল রূপে। এ ব্যাপারে আবার্সিক মেডিকেল অফিসারকে ক্যামেরার সমনে প্রশ্নের উত্তর দিতে বললে সে উত্তর প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.