(দিনাজপুর২৪.কম) আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পর গতকাল বিশ্রামে কাটান বাংলাদেশ দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই। গতকাল অনুশীলনে আসেন মাত্র ৪ জন ক্রিকেটার। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাসির হোসেন, ইমরুল কায়েস, মোশরারফ হোসেন রুবেল ও শফিউল ইসলামের সঙ্গে আসেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসাল ও ব্যাটিং পরামর্শক থিলান সামারাবীরাও। অনুশীলন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বৃষ্টি। তবে ৩০ মিনিট পর বৃষ্টি থামলে ফের অনুশীলন শুরু করেন তারা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পরই দল থেকে বাদ পড়েন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। প্রথম ওয়ানডে ৩৭ রান করেন ইমরুল। এতে দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে বড় রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু ধারাবাহিক ব্যর্থ সৌম্য সরকারকে দলে রেখে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাদ দেয়া হয় ইমরুলকে। দ্বিতীয় ম্যাচে করুণ ব্যাটিং নিয়ে হার দেখে মাশরাফি বাহিনী। এমন হারকে মেনে নিতে পারছেন না ইমরুল কায়েসও। গতকাল অনুশীলন শেষে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘অবশ্যই দুঃখজনক। আমাদের জেতার সামর্থ্য ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি কারণ হয়তো মাঠের পরিকল্পনাগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।’ অন্যদিকে নিজের এই বাদ পড়াকে নৈপুণ্যে ছন্দপতনের কারণ বলে মনে করেন ইমরুল। তিনি বলেন, ‘বাদ পড়লে ছন্দপতন হয়ই। কিন্তু দলেরও একটা পরিকল্পনা থাকে। সেটি মেনে নিতে হবে। আশা করি ফের সুযোগ হবে। আর সব সময়ই চেষ্টা থাকে নিজের সেরাটা দেয়ার।’ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই ছিলেন ব্যর্থ। আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে ভোগান্তিতে দেখা যায় তাদের। এতে ২০৮ রানে গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশ দলের ৬ উইকেট ভাগাভাগি করেন আফগানিস্তানের তিন স্পিনার রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও রহমত শাহ। আর অফস্পিনার মোহাম্মদ নবী ১০ ওভারের স্পেলে দেন মাত্র ১৬ রান। আফগানের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের নজির। ইমরুল বলেন, ‘দেখেন অনেক দিন পর আমরা ওয়ানডে খেলছি। কিছুটা সমস্যাতো ছিলই। আর উইকেটও ছিল স্পিনারদের দখলে। আমাদের স্পিনারদেরও ওরা কিন্তু তেমন খেলতে পারেনি। বল বেশ স্লো হয়ে আসছিল। আসলে এই হারটিকে দুর্ভাগ্যও বলা যায়। আমাদের রানটা একটু কম হয়ে গিয়েছিল। নয়তো আমাদের স্পিনারদেরও ক্ষমতা ছিল ম্যাচ জেতানোর।’ বিশেষ করে বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল অফগানিস্তানের লেগ স্পিনাররাই। রশিদ খান ১০ ওভারে ৩৫ ও আর রহমত শাহ ৭ ওভারে দেন ৩০ রান। তাহলে কি লেগ স্পিন খেলাতেই দুর্বলতা তামিম, সাকিবদের? ইমরুল বলেন, ‘একটি দলে লেগ স্পিনার থাকা অনেক বড় একটি শক্তি। লেগ স্পিনাররা যদি সেই মানের হয় তাহলে তারা যে কোন মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ওদের দুজন লেগ স্পিনার তাই করেছে। দুর্ভাগ্য এখন আমাদের সেই মাপের লেগ স্পিনার দলে নেই।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটিতে টাইগারদের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। আর ইমরুল বলেন, ‘ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই। এখনও আমাদের শেখার অনেক কিছুই আছে। শেষ ম্যাচে অবশ্যই আগের ভুলগুলো শুধরে সেরাটা খেলতে হবে। পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’ -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.