(দিনাজপুর২৪.কম) জেলা শহর মাইজীতে মোবাইল ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে হত্যার দায়ে ১৩ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরো ৩ আসামির চার লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা দায়রা ও জজ এ এন এম মোরশেদ খান ওই আদেশ দিয়েছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- কামরুল হাসান সোহাগ প্রকাশ সোহাগ ডাকাত, জিসান বাহিনীর প্রধান সোলায়মান হোসেন জিসান, তোফাজ্জল হোসেন জাবেদ, সুজন, এলজি কামাল, মুন্না, সামছুদ্দিন ভুট্ট, জুয়েল, রাশেদ ড্রাইভার, আব্দুস সবুজ, আলী আকবর সুজন, সাহাব উদ্দিন ও সামছুদ্দিন সামিয়া।
এদের মধ্যে জিসান বাহিনীর প্রধান সোলায়মান হোসেন জিসান ও এলজি কামাল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন শুধুমাত্র আলী আকবর সুজন। অপর ১০ জন পলাতক।
আদালত সূত্রমতে, ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি রিকশা করে মাইজদী থেকে বাসায় ফিরছিলেন শহরের মোবাইল ব্যবসায়ী ‘মোবাইল ফেয়ার’এর কর্ণধার ফিরোজ কবির মিরণ, তার ভাই সামছুল কবির রুবেল ও দোকানের কর্মচারী সুমন পাল। পথে মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম এলাকায় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এসময় মিরণসহ তিনজন গাড়ির ভেতরে থাকা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রথমে সুমন পালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে গাড়িতে থাকা মিরণ ও রুবেলকেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে রুবেল লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে আহত হয়। ঘটনার সময় মিরণকেও কুপিয়ে সড়কে ফেলে দিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীর।
স্থানীয় লোকজন ফিরোজ কবির মিরণকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করে। পথিমধ্যে মিরণের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত মিরণের আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ নয় বছর ধরে দুই পক্ষের জেরা ও বিচারকাজ শেষে বুধবার বিকেলে ১৩ আসামিকে ফাঁসির আদেশ ও একই সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি তোফাজ্জেল হোসেন জাবেদকে দুই লাখ টাকা ও মুন্নাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সফিক, বিবাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি এটিএম মহিব উল্ল্যা, এপিপি বোরহান উদ্দিন মোহন, এ এম হাসান মাহমুদ ও দেব্রত চক্রবর্তী। -ডেস্ক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.